আজ বৃহস্পতিবার, ২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

অবশেষে সেই প্রশ্নের উত্তর পেলেন বিজ্ঞানীরা।

অবশেষে সেই প্রশ্নের উত্তর পেলেন বিজ্ঞানীরা। ৬৫০ মিলিয়ন বছর আগে শ্যাওলা থেকে প্রথম বহকোষী প্রাণীর সৃষ্টি হয়। সেই সময় যে প্রাকৃতিক পরিবেশ পৃথিবীর বুকে দেখা দিয়েছিল, তা না হলে পরবর্তীকালে মানুষের আগমন ঘটত না বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।

অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এই গবেষক দলের নেতৃত্বে ছিলেন অধ্যাপক জোশেন ব্রুকস। নেচার পত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধে তিনি বলেছেন যে মধ্য অস্ট্রেলিয়া থেকে অতি প্রাচীন কয়েকটি পাথর উদ্ধার করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই পাথরগুলিতে ভেঙে গুঁড়ো করে প্রাচীন প্রাণতত্ত্বের নিদর্শন উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘পাথরের কণা থেকে আমরা বুঝতে পেরেছি যে ৬৫০ মিলিয়ন বছর আগে পরিস্থিতি খুবই আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। বলা যেতে পারে ইকোসিস্টেমের মধ্যে তখন একটা বিপ্লব চলছিল। ‘

বিজ্ঞানীদের কথায়, পৃথিবী তখন সম্পূর্ণ বরফে আচ্ছাদিত ছিল। ৫০ মিলিয়ন বছর ধরে বরফীকৃত হয়ে ছিল এই গ্রহ। বিশাল হিমবাহ ভেঙে পড়ে গোটা পর্বতমালাকে মাটিতে মিশিয়ে দেয়।
পাহাড় ভেঙে বেরিয়ে আসে প্রচুর পৌষ্টিক পদার্থ। উষ্ণ যুগ শুরু হতে বরফ গলে যখন সমুদ্রে গিয়ে মিশল, তখন এই সব পৌষ্টিক পদার্থ সমুদ্রে মিশে যায়।

এই সব পৌষ্টিক পদার্থের গুণে এবং উষ্ণ যুগ ধীরে ধীরে শীতল হলে পৃথিবীতে প্রাণ সৃষ্টির মতো উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়। এই সময় প্রচণ্ড শক্তির স্ফূরণ ঘটে এবং ব্যাকটেরিয়া থেকে সমুদ্রের পানিতে প্রথম বহুকোষী প্রাণীর সৃষ্টি হয়। এই দারুণ গবেষণা বিবর্তনবাদী দর্শনকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেল।